

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বহুলা এলাকায় লাইসেন্স ছাড়াই একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বড় বহুলা গ্রামের পাশে ক্যামেলিয়া গ্রামীন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে গর্ভবর্তী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করানো হবে এমন প্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিধি অনুযায়ী, যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল কিংবা নরমাল ডেলিভারি সেন্টার পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে বৈধ লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রেক্ষিতে ক্যামেলিয়া গ্রামীন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সানজানা শিরীনকে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখ সকাল ১০টায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পক্ষে সকল বৈধ কাগজপত্রসহ স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জনস্বার্থ রক্ষা ও নিরাপদ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সবিহীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত তদারকি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে সানজানা শিরীনের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনো ডেলিভারি সেন্টার চালু করা হয়নি। চালু করার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করেই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা তাকে ৭ তারিখে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেছি। ওই সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনুমোদন ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে না।
মন্তব্য করুন
