

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এই আসনে গণঅধিকার পরিষদের দুই শীর্ষ নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন আলোচনা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নিজ আসন পটুয়াখালী-৩ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিমও একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান মুন্সী।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সোমবার বিকেল ৫টায় গলাচিপা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ভিপি নুর। অন্যদিকে শহিদুল ইসলাম ফাহিম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পটুয়াখালী-১ আসনের পাশাপাশি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
একই দল থেকে দুইজনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী একাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। পটুয়াখালী তার নিজ জেলা হওয়ায় এখান থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, তার দলের অন্য কেউ এই আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন—এ তথ্য তার জানা ছিল না। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে।
পটুয়াখালী-৩ আসনে শুধু গণঅধিকার পরিষদ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ জমে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামী থেকে অধ্যাপক মুহা. শাহ আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস. এম. ফজলুল হক, খেলাফত মজলিশের মো. দেলোয়ার হোসেন এবং মিজানুর রহমান বাবু।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালী-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ জন। তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
