

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কিশোরগঞ্জ–১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বঞ্চিত পাঁচ প্রার্থী ও তাদের হাজারো নেতাকর্মী বুধবার ব্যাপক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একযোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলা এই আন্দোলনের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের পর থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একাধিক স্থানে সড়কের এক পাশ আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে পড়ায় ভৈরব, পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ শহরমুখী যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়ে।
কর্মসূচিতে একযোগে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ হিলালী, সাবেক বিচারক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল হুসাইন এবং অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে হাজারো নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ–১ আসনে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন না করে মনোনয়ন দেওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নেতারা অবিলম্বে মনোনয়ন বাতিল করে গ্রহণযোগ্য ও ত্যাগী নেতাকে প্রার্থী করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে আগামী দিনে আরও কঠোর ও লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সাময়িকভাবে শেষ করা হয়। তবে আন্দোলন এখানেই শেষ নয় বলে জানান নেতারা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভৈরব রেলপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় বিএনপি কিশোরগঞ্জ–১ আসনে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পরপরই কিশোরগঞ্জ–১ আসনকে ঘিরে দলটির ভেতরে তীব্র বিরোধ, গ্রুপিং ও আন্দোলনের সূচনা হয়, যা এখন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন
