সোমবার
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে দুই যুবককে বেঁধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া
expand
ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া

ফেনীর বালিগাঁও এলাকায় চুরির অভিযোগে দুই যুবককে বেঁধে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত একটি কক্ষে এক ব্যক্তি লাঠি হাতে দুইজনকে একসঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন। ঘটনাটি ফেনীর বালিগাঁও এলাকায় ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, মারধরের শিকার দুইজন হলেন খাজা মাঈনুদ্দিন ও ইসমাইল। খাজা মাঈনুদ্দিন পেশায় একজন রিকশাচালক এবং ইসমাইল পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি।

চুরির অভিযোগে তাদের এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভিডিওতে যিনি মারধর করছেন, তিনি রসুল আমিন নামে পরিচিত, যিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবেও পরিচিত।

চুরির অভিযোগে মারধরের শিকার খাজা মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘রসুল আমিন বালিগাঁও এলাকার ইয়াবা ডিলার। তিনি আমার কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে বিক্রি করতে চাপ দেন। আমি ইয়াবা সেবন করলেও বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আমাকে চুরির অভিযোগে তার অফিসে নিয়ে মারধর করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রসুল আমিনের ভয়ে আমি এখন রিকশা চালাতে পারছি না। থানায় অভিযোগ দেওয়ারও সাহস পাইনি।’

এ বিষয়ে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা রসুল আমিন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বালিগাঁও এলাকায় চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। ইতোমধ্যে গরু, রিকশা, সিএনজি এবং বাড়িঘরে চুরি হয়েছে।’

তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিন ওই এলাকায় বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছে এবং একাধিক চুরির সঙ্গে জড়িত।

কয়েকদিন আগে কয়েক লাখ টাকার বৈদ্যুতিক তার চুরির প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে তাকে থানায় না দিয়ে নিজে মারধর করা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X