

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে ঝুলে রয়েছে ২কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭ টি এলএলপি সেচ প্রকল্প।
নির্ধারিত সময়ে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার কৃষকদের মাঝে এক ধরনের হতাশা নেমে এসেছে।
এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অন্যদিকে ফসল উৎপাদনে কৃষকের মাঝে অনিহা দেখা দিয়েছে। আর বিদ্যুৎ অফিসের দাবি প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ না থাকায় সংযোগ স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে বিএডিসি পানাশি (ক্ষুদ্র সেচ) প্রকল্পের আওতায় ৫ কিউসেক ১০টি ও ২ কিউসেক ৭টি এলএলপি সেচ প্রকল্পের ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী ঠিকাদারদের মাধ্যমে ১৭ টি এলএলপির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ধানগড়া ইউপির ঝাগড়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন ও জামান বলেন ৪ বছর ধরে ঝুলে আছে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ কাজ । ২০২১ সাল হতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অফিসে ঘুরতে ঘুরতে আমরা এখন যেন হতাশ হয়ে পড়েছি। নানা অযুহাতে শুধু কালক্ষেপণ করে চলছে পল্লী বিদ্যুত অফিস ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো।
তেলিজানা গ্রামের মাফুজুল বলেন দীর্ঘদিন হয়ে গেল, কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ হইলো না।
চান্দাইকোনা ইউপির দাথিয়া দিগর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন ৪ বছরেও মেলেনি সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য ২০২১ সাল হতে বিভিন্ন তারিখে স্মারক নম্বর সহ ১৭ টি সেচ পাম্পের বিপরীতে ডিমান্ড নোটের মাধ্যমে ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ভুইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিস জমা দেওয়া হয় । এ বিষয়ে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বর্মন বলেন, ১৭টি সেচ পাম্পের ডিমান্ড নোট পল্লী বিদ্যুত অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ অতিবাহিত হলেও সংযোগ মেলেনি। তিনি আরও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন শতশত কৃষক।
এ বিষয়ে ভূইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিজামুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ না থাকায় সংযোগ স্থাপনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কিছু সেচ পাম্পের লাইন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ায় সংযোগ দিতে বিলম্ব হচ্ছে । তবে সব সমস্যা সমাধান করে খুব শিগগিরিই সংযোগগুলো দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
