

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ময়মনসিংহের ভালুকায় জেঁকে বসা তীব্র শীতে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের।
শীতে মানুষ ভিড় করছেন লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা।
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে বিভিন্ন হাট-বাজারে লেপ-তোষক তৈরি, ধুনন ও সেলাই চলে। বিক্রি ও অর্ডার দুই ক্ষেত্রেই তারা ব্যস্ত। প্রতি বছর এ মৌসুমে লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়তে শুরু করে।
শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে, এ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। দেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শীত, যার প্রভাব পড়েছে এ অঞ্চলেও। শীত নিবারণের জন্য উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সকলেই ছুটছেন লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভালুকা পৌর শহরের দোকানগুলোতে কাপড় ও তুলার মান বুঝে লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টসের সাদা তুলা ৬০ থেকে ১শ ২০, ৪শ থেকে ৫শ টাকা, কালো তুলা ৬০ থেকে ১শ টাকা, শিমুল তুলা ৭শ থেকে ৮শ টাকা এবং কার্পাস তুলা ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকায় প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, ভালুকা পৌর শহর এলাকায় প্রায় ১৫ থেকে ১৮টি লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের কারিগররা এখন খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বর্তমানে সিঙ্গেল ৩ থেকে ৪ হাত মাপের লেপ-তোষক এক হাজার ৫শ থেকে দুই হাজার টাকা এবং ডাবল ৫ থেকে ৬ হাত মাপের লেপ-তোষক দুই হাজার ৫শ থেকে তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাপড়, তুলা এবং মানের দিক বিবেচনা করেই ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো দামদর করে কিনছেন। কারিগররা প্রতিটি লেপের মজুরি বাবদ পান ২শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা। তবে কাপড় ও তুলার দাম বেশি হওয়ায় এ বছর লেপ-তোষকের দাম একটু বেশি। তারপরও চাহিদার কমতি নেই ক্রেতাদের।
লেপ-তোষকের তৈরির কারিগরর আবু বক্কর সিদ্দিক, আলামিন, রফিক সঞ্জীব, রিমন, মাইনুদ্দিন, তাপস ও মামুন। তাদের সাথে কথা হয় এনপিবি নিউজের এ প্রতিবেদকের। তারা জানান, শীত বেশি হওয়ার কারণে লেপ-তোষকের চাহিদা বেড়েছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছি এবং অনেক ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার সময়ও পাওয়া যায় না।
কারিগররা আরও জানান, সারা বছর আমাদের তেমন কাজ না থাকলেও শীতের শুরু থেকে আমরা ব্যস্ততা থাকি লেপ-তোষকের তৈরিতে। তবে শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় ভিড় বেড়েছে দোকানে। যার কারণে আমরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভালুকা বাজারের লেপ-তোষকের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন এনপিবি নিউজের প্রতিবেদককে জানান, এখন বেশ শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরির অনেক অর্ডার পেয়েছি। আমার দোকানের কারিগররা সকাল থেকে রাত দশটার পর্যন্ত কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন
