

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর কামারখন্দ উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা এবং সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের দিকে সারা দেশে যৌথ বাহিনীর আক্রমণের পর পাক হানাদাররা বুঝতে পারে যে তারা শীঘ্রই পরাজিত হচ্ছে। জুলুম-অত্যাচার করে আর বাংলাদেশে থাকা যাবে না—এমন উপলব্ধি থেকে তারা সারা বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পালাতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর কামারখন্দ থানায় অবস্থানরত পাক মিলিশিয়া ও পুলিশ উল্লাপাড়ার দিকে পালিয়ে যায়।
খবরটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চর টেংরাইলের আইনুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল একজন গুপ্তচরকে থানায় পাঠায়। গুপ্তচর থানায় গিয়ে দেখে, সত্যিই পাক হানাদাররা পালিয়ে গেছে। বিষয়টি তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ওই দলকে জানাতে জানাতে রাত হয়ে যায়।
তখন মুক্তিযোদ্ধারা আশঙ্কা করেন যে পাকিস্তানিরা মাইন পুঁতে রেখে যেতে পারে। রাতে গেলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। তাই ওই দিন থানায় না গিয়ে পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর সকালে গিয়ে কামারখন্দ থানা দখল করে পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং থানার দক্ষিণ পাশের রাস্তায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করে। এভাবেই ১৩ ডিসেম্বর কামারখন্দ থানা পাক হানাদারদের কাছ থেকে মুক্ত হয়।
মন্তব্য করুন
