

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পরে ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে শরিফ ওসমান হাদির মাথায় যে গুলিটি করা হয়েছে, তা শুধু তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, এই বুলেট বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই অভ্যুত্থানের বুকে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
সমাবেশে পঞ্চগগ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ইকবাল হোসেন, এনসিপির সদর উপজেলার সমন্বয়ক তানবীরুল বারী নয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, মোজাহার ইসলাম সেলিম সহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে সারজিস অভিযোগ করেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরে দেশের পরিবর্তনে দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা ফ্যাসিস্ট কালপিটদের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই গুলির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করতে চাইছে, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চাইছে, নির্বাচন কেন্দ্রিক পরিস্থিতিকে বানচাল করতে চাইছে- তাদের এজেন্টদের খেলাই হচ্ছে এটি। হাদিকে গুলি করার মাধ্যমে সেই খেলার নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে শুধু নির্বাচনী লড়াই নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। যারা আবার বাংলাদেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সারজিস দাবি করেন, গত কয়েক মাসে সীমান্ত দিয়ে পরিকল্পিতভাবে অনেককে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে অস্থিতিশীলতা তৈরির উদ্দেশ্যে। তার ভাষায়, জুলাইয়ে যারা রক্ত ও জীবন দিয়ে লড়াই করেছিলেন, আবার সংকট এলে তারা একত্র হবেন এ কারণেই আমাদের ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে সকল আওমী সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামাই এখন একমাত্র কাজ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে সারজিস বলেন, লুতুপুর মাধ্যমে খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দিনে এক কথা, রাতে আরেক কথা বললে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ চাই-এ জন্য শক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
মন্তব্য করুন
