

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। অনুমতি না পেয়ে তারা নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে অবস্থান নেন, ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা শ্রমিকদের সরাতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে।
নিহত যুবকের নাম মো. হাবিব (২১)। তিনি সদর উপজেলার ছোট সাঙ্গোলসি গ্রামের বাসিন্দা এবং উত্তরা ইপিজেডের ইকু ইন্টারন্যাশনাল কারখানার কর্মী ছিলেন। নীলফামারী সদর থানার ওসি এম আর সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাতের শিফট শেষে সকালে বাড়ি ফেরার পথে বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব নিহত হন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তত ছয়জন শ্রমিক নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকের প্রাথমিক ধারণা, হাবিবের বুকে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আহত শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আন্দোলনের পেছনের কারণ
হংকংভিত্তিক এভারগ্রীন (বিডি) লিমিটেড নামের পরচুলা কারখানা সম্প্রতি প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। পরবর্তীতে পাওনা পরিশোধ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝোলালে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
সংঘর্ষের পর ইপিজেড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সবসময় মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে। তারা আরও বলেন, হঠাৎ ছাঁটাইয়ের কারণে বহু শ্রমিক নিয়মমাফিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিজিবির ৫৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার স্কোয়াড্রন মো. বদরুজ্জোহা বলেন, “ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, শ্রমিক ও কারখানা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
