

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয় তরুণ, সোশ্যাল মিডিয়া-সচেতন প্রজন্মের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে।
তাঁকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নতুন প্রভাবশালী মুখ হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং অনেকে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কল্পনা করছেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা বা রাজনৈতিক ক্ষমতা যতই হোক, মামদানি কখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় আর্টিকেল, সেকশন ১ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হতে হবে।
মামদানি ১৯৯১ সালে উগান্ডার কাম্পালায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ৭ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০১৮ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন, তবে জন্মসূত্রে নাগরিক নন। এই কারণেই সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যোগ্য নন।
“জন্মসূত্রে নাগরিক” বলতে বোঝানো হয়—জন্মের সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম নেওয়া অথবা আমেরিকান পিতামাতার মাধ্যমে বিদেশে জন্ম নেওয়া। জন্মসূত্রে নাগরিক না হলে কোনো পরিপক্ব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বা জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই।
এই নিয়মের কারণে ইলন মাস্কও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। এর আগে অভিনেতা ও রাজনীতিক আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হওয়ার পরেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারেননি।
তত্ত্বগতভাবে সম্ভব হলেও বাস্তবে খুবই কঠিন। ২০০৩ সালে সিনেটর অরিন হ্যাচ “ইকুয়াল অপরচুনিটি টু গভার্ন অ্যামেন্ডমেন্ট” প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসে দ্বিদলীয় সমর্থন এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের তিন-চতুর্থাংশ অনুমোদন প্রয়োজন, যা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব।
অতএব, মামদানির জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়া সংবিধানগতভাবে নিষিদ্ধ, যদিও তিনি জনপ্রিয়, প্রভাবশালী ও প্রশংসিত নেতা।
মন্তব্য করুন
