

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজায় ১২ বছরের রাঘাদ আল-আসারকে ইসরায়েলের হামলার সময় মৃত ধরে নেওয়া হয়েছিল। হামলায় তার দুই বোন নিহত হন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও আহত হন। রাঘাদকে দুই বোনের পাশে অচেতন অবস্থায় মর্গে রাখা হয়।
রাঘাদকে মর্গে অচেতন অবস্থায় ৮ ঘণ্টা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই সময় তার বাড়িতে ইসরায়েলি হামলার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাঘাদ আল-আসার আল জাজিরাকে বলেন, “আমরা বাড়িতে বসেছিলাম, তখন হঠাৎ গুলি, বিমান ও ড্রোনের হামলা আমাদের ওপর নেমে আসে।”
তবে ভাগ্যবশত রাঘাদ বেঁচে থাকেন। মর্গে তার দেহ পরীক্ষা করতে আসা একজন ফিলিস্তিনি লক্ষ্য করেন যে, ঠান্ডা স্ল্যাবের ওপর পড়ে থাকা মেয়েটির আঙুলগুলো সামান্য নড়ছে।
রাঘাদ বলেন, “আমি দুই সপ্তাহ কোমায় ছিলাম। জেগে উঠার পর আমার পরিবার জানিয়েছিল যে আমাকে মর্গে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল।”
হামলার দিন, ৮ জুন ২০২৪, আল-আসারের দুই বোন নিহত হন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আহত হন। তিনি বলেন, “আমার বড় বোনের অবস্থা আরও খারাপ। সে এক চোখে দেখতে পারছে না, দগ্ধ হয়েছে এবং পেটের গুরুতর সমস্যা রয়েছে।”
রাঘাদের এই কাহিনি গাজার সংঘর্ষের অনেক ঘটনার মধ্যে একটি। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতি গণহত্যার দিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৬৪ হাজার শিশু নিহত বা অক্ষম হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সংঘর্ষে প্রায় ৬৯,১৮৭ প্যালেস্টাইনি নিহত এবং ১,৭০,৭০৩ জন আহত হয়েছেন।
রাঘাদের বাবা মোহাম্মদ বলেন, হামলার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। একজন আত্মীয় ফোন করে ঘটনার খবর দেন। পরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মেয়েকে খুঁজে পান। পুনর্মিলনের পরে তিনি লক্ষ্য করেন যে, হামলার প্রভাব মেয়েটির মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
রাঘাদ বলেন, “আমি যুদ্ধের শব্দ শুনতে চাই না। বোমা বিস্ফোরণ বা বিমান শব্দ আমাকে ভয় দেয়। সেই স্মৃতিগুলো মনে করতেই আমি আতঙ্কিত হই।”
মন্তব্য করুন
