

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসরায়েলি হামলা ও সহিংসতার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দিনের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জীবন-জীবিকা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা ও গুলি এড়িয়ে বেঁচে থাকা যেখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে পুষ্টিকর খাবারের দেখা যেন স্বপ্নের মতো। ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালীন মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জেলেদের সাগরে মাছ ধরাও নিষিদ্ধ করেছে।
১০ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ধ্বংসস্তূপের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। হাটবাজার খুলতে শুরু করে এবং শিশুরা দীর্ঘদিন পর পুষ্টিকর খাবারের মুখ দেখার সুযোগ পায়।
এক ফিলিস্তিনি বাবা দীর্ঘ এক বছর পর সন্তানদের জন্য মুরগির মাংস কিনে আনেন। তা দেখে ঘরে থাকা একটি শিশু আনন্দে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসা তিন শিশু বাবার হাতে মুরগি দেখে উল্লাসে মেতে ওঠে। এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আলজাজিরা ভিডিওটি শেয়ার করে বর্ণনা দিয়েছে, যেখানে শিশুরা মুরগি দেখে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করছে এবং বলছে, “আল্লাহ মহান, সত্যিই মুরগি!”
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিশুর কাছে আপেলের নাম জানতে চাইলে সে বলে “তরমুজ”—যেখানে যুদ্ধের ভয়াবহতার কারণে শিশুরা ফলের নামও ভুলে গেছে। ভিডিওটি দেখায় যে, সাধারণ খাবারের উপলব্ধি তাদের জন্য এক ধরনের অমূল্য আনন্দ।
গাজায় চলমান দুই বছরের যুদ্ধের মধ্যে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগেছে। খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে শত শত শিশু মারা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ঘাস, লতা-পাতা খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে।
পুষ্টিকর খাবার ফিলিস্তিনিদের কাছে বিলাসিতার সমতুল্য ছিল, কারণ ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে—স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির এবং হাটবাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
