

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজায় যুদ্ধবিরতি বলবৎ রাখার ঘোষণা দিয়েও আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। নতুন এ হামলায় অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতের ধারাবাহিক বোমা হামলায় প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় ইসরাইলি বাহিনী এই হামলা চালায়। স্থানীয় আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি স্থান যেখানে ‘অস্ত্র মজুত ছিল’ এবং যা তাদের সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলা গাজায় টালমাটাল অস্ত্রবিরতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফা অঞ্চলে এক ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধমূলক শক্তিশালী হামলার নির্দেশ দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ওই দিনের হামলায় ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরাইল পরে জানায়, তারা হামাসের কয়েকজন সিনিয়র সদস্যকে লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে এবং এতে ‘ডজনখানেক’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনার পরদিন দুপুরে ইসরাইল আবারও যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার ঘোষণা দেয়—এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন হামলার খবর আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঘটনাটি সত্ত্বেও অস্ত্রবিরতি এখনো “ঝুঁকির মুখে নেই।” অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারী কাতার এই ঘটনার পর হতাশা প্রকাশ করলেও জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, গুতেরেস গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসব হামলায় নারী ও শিশুসহ বহু নিরীহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
