

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রবাসী শ্রমিক ও শিল্পখাতের জন্য ইতিবাচক এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির শিল্পখাতে গতি বাড়ানো এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও শক্তিশালী করতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিট ফি মওকুফ করার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি মন্ত্রিসভা।
সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থনৈতিক ও উন্নয়নবিষয়ক পরিষদের (সিইডিএ) প্রস্তাব অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, প্রায় সাত থেকে আট বছর পর আবারও প্রবাসী কর্মীদের ওপর আরোপিত এই ফি বাতিল করা হলো।
শিল্প ও খনিজসম্পদমন্ত্রী বান্দার আলখোরায়েফ বলেন, প্রবাসীদের ওপর থাকা আর্থিক চাপ কমলে সৌদি আরবের শিল্পখাত আরও টেকসই ও শক্তিশালী হবে। তিনি জানান, ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শিল্প খাতকে ধারাবাহিক সহায়তা দিতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তার মতে, এই সিদ্ধান্ত সৌদি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। একই সঙ্গে তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানি পণ্যের পরিসর বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য অনুযায়ী সৌদি আরব ধীরে ধীরে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসে বহুমুখী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলছে। ইকামা ফি প্রত্যাহার সেই পরিকল্পনারই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্ত্রী আরও জানান, ফি মওকুফের ফলে কারখানাগুলোর পরিচালন ব্যয় কমবে, নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং উৎপাদন সম্প্রসারণে উৎসাহ তৈরি হবে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি যেমন অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও উন্নত উৎপাদন পদ্ধতি দ্রুত গ্রহণের পথও সহজ হবে।
এদিকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব এখনো পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে। গত নভেম্বরে দেশটিতে কর্মরত পাকিস্তানিরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। সৌদি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান থেকে প্রায় ১৮ লাখের বেশি কর্মী সৌদি আরবে গেছেন, যা আগের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের পর পাকিস্তান সরকার সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে যেখানে নির্মাণ, কারিগরি কাজ, স্বাস্থ্যসেবা ও আতিথেয়তা খাতে বেশি শ্রমিক পাঠানো হয়, সেখানে ভবিষ্যতে নতুন খাতেও কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন

