

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সংযুক্ত আরব আমিরাত সাময়িকভাবে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে। ভিক্ষাবৃত্তি থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সিনেটের মানবাধিকার সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে তিনি জানান, বর্তমানে শুধু কূটনৈতিক ও ব্লু-পাসপোর্টধারী পাকিস্তানিদের জন্যই ভিসা কার্যক্রম চালু আছে; অন্যদের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না।
সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ারম্যান সামিনা মুমতাজ জেহরিওও বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ আবেদনকারীই ভিসা পাচ্ছেন না, আর যারা পাচ্ছেন, তাদেরকেও নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের বৈদেশিক কর্মসংস্থান–সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা আসিম বেগ জানান, আমিরাতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ গত কয়েক বছরে বেড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে দেশটি ভিসা সীমিত করে দিয়েছে বলে তার ধারণা। আগে ভিসা আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে ইসলামাবাদে আমিরাত দূতাবাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পাকিস্তানের দৈনিক ডন–কে জানিয়েছেন, তাদের দেশের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
পাকিস্তান ও আমিরাত বহুদিনের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যে পাকিস্তানের বড় বাণিজ্য অংশীদারগুলোর একটি হলো আমিরাত, এবং দেশটিতে কর্মরত পাকিস্তানিরা রেমিট্যান্সের বড় উৎস হিসেবেও পরিচিত। আমিরাতে বসবাসরত অভিবাসীদের মধ্যে পাকিস্তানিরা সংখ্যায় অন্যতম শীর্ষস্থানে।
প্রতি বছর ইসলামাবাদে আমিরাত দূতাবাসে প্রায় আট লাখের বেশি পাকিস্তানি কর্ম ও ভ্রমণ ভিসার আবেদন করেন।
মন্তব্য করুন

