

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেপালের রাজনীতিতে ঘটল ঐতিহাসিক পরিবর্তন। দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর এবার প্রধানমন্ত্রী পদেও ইতিহাস গড়লেন সুশীলা কার্কি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেলের কাছে শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৭২ বছর বয়সী এই আইনজীবী ও সাবেক বিচারপতি। রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল নিবাসে এই শপথ অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দোলনের দাবিতে নেতৃত্বে কার্কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভ নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্ম দেয়। এতে দেশ নেতৃত্বহীন হয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার প্রস্তাব দেন। তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, অন্তত এক হাজার লিখিত স্বাক্ষর পেলে বিবেচনা করবেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর পক্ষে জমা পড়ে আড়াই হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর। এরপর আন্দোলনকারীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মনোনীত করে।
যদিও প্রথমে প্রস্তাব এসেছিল তরুণ মেয়র ও র্যাপার বলেন্দ্র শাহ এবং প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিঙের নাম নিয়ে, শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ভোটাভুটির মাধ্যমে সুশীলার নাম চূড়ান্ত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা
শপথের পরপরই সুশীলা কার্কি ঘোষণা দেন, একটি ক্ষুদ্র আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। শুক্রবার রাতেই তাঁর নেতৃত্বে প্রথম বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হবে বলে জানা গেছে।
কে এই সুশীলা কার্কি?
১৯৫২ সালে জন্ম নেওয়া সুশীলা কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে আইন পেশায় যুক্ত হন। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং ২০১৬ সালে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান।
দুর্নীতিবিরোধী কড়া অবস্থান, স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হন। ২০১৭ সালে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব শেষে অবসর নিলেও এবার আবারও ইতিহাস গড়লেন প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে।
সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ
রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর পর এবার প্রধানমন্ত্রী পদেও নারীর নেতৃত্ব পেল নেপাল। তবে সুশীলার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ—বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্মের আস্থা ধরে রাখা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে আনা। তবুও তাঁর সৎ ও সাহসী ব্যক্তিত্বে অনেকেই আশা করছেন, সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নেপাল নতুন দিশা পাবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    