

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুশীলা কার্কি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে রাজধানী কাঠমান্ডুর ‘শীতল নিবাসে’ প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল তাকে শপথ পড়ান।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শপথের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে সুশীলাকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে একটি সীমিত মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। শপথ নেওয়ার পরপরই আজ রাতেই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বসার কথা রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হতে পারে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে নেপালে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে গুলি চালানো হয় এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়ে। একপর্যায়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপনে চলে যান। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের বাড়ি এবং কয়েকজন মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালান। অর্থমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সুশীলা কার্কি নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং তিনিই দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি। দুর্নীতিবিরোধী কড়া অবস্থানের জন্য তিনি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নেপালের উন্নয়ন ও সহায়তায় ভারতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    