

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেপাল এখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা টহল পর্যন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নেয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থেকে তা ধীরে ধীরে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় পরিণত হয়। এর চাপ সামলাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি শান্ত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শুরুতে যেসব জেন-জি সংগঠন এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, তারা সহিংসতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা আন্দোলন দখল করে নিয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি সহিংস হয়ে ওঠে, যখন পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীরা হতাহত হয়। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে ২০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে অনেকে। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ক্রমশ তীব্র চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেসিডেন্টও পদ ছাড়েন। তবে এর পরও থামেনি আগুন-ভাঙচুর।
অনেক আন্দোলনকারী এখন শঙ্কিত, কারণ তাদের বিশ্বাস—‘আন্দোলনটি বাইরের অনুপ্রবেশকারীরা নিয়ন্ত্রণ করছে।’
জেন-জিদের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘মঙ্গলবারের কর্মসূচি ছিল আমাদের আয়োজন। এর মূল লক্ষ্য ছিল জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির অবসান। আমাদের আন্দোলন অহিংস ছিল, এখনও তাই আছে এবং নাগরিক অংশগ্রহণের শান্তিপূর্ণ নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’
তারা আরও জানায়, সাধারণ মানুষ ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি সুরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে তারা। ১০ সেপ্টেম্বরের পর আর কোনো কর্মসূচির পরিকল্পনা নেই বলেও জানানো হয়। প্রয়োজনে সেনা ও পুলিশকে কারফিউ কার্যকরে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ‘আমাদের লক্ষ্য কখনোই মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত করা নয়, কিংবা কাউকে সুযোগ করে দেওয়া নয় যেন তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতায় পরিণত করে।’
সেনাবাহিনীও বলছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে এবং তারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    