

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইরানের রাজধানী তেহরান মারাত্মক পানি সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। দীর্ঘদিনের খরায় রাজধানীর প্রধান পানির উৎসগুলো দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে, ফলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই জলাধারগুলো ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তেহরান পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক আইআরএনএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, শহরের পানির পাঁচটি মূল উৎসের একটি হলো আমির কবির বাঁধ। বর্তমানে সেখানে মোট ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি অবশিষ্ট আছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের সরবরাহ সম্ভব।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটির বেশি জনবসতিপূর্ণ তেহরান মূলত আলবোর্জ পর্বতমালা থেকে নেমে আসা নদীগুলোর পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে কমে আসা বৃষ্টিপাত ও ক্রমবর্ধমান খরার কারণে ওই উৎসগুলো প্রায় শুকিয়ে গেছে।
ইরানি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রাজধানীর বাসিন্দারা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করেন। পানি সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় সরবরাহ নিয়মিতভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে। গত জুলাই ও আগস্টে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে সরকার দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছিল। সে সময় তেহরানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, আর কিছু এলাকায় ৫০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়।
দেশজুড়ে এখন পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, বিশেষত দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, অব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন এ সংকটের মূল কারণ। প্রতিবেশী ইরাকও একইভাবে ১৯৯৩ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস নদীর পানির স্তর বর্তমানে প্রায় ২৭ শতাংশ কমে গেছে, যা পুরো পশ্চিম এশিয়ার পানি নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
