

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে মাত্র পাঁচ ও ছয় বছরের দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
সোমবার পুরনো শহরের ভেতরে ঘটে এ ঘটনা। সেনাদের দাবি, শিশুরা নাকি এক দখলদার বসতির বাড়ি ঘিরে গোয়েন্দাগিরি করছিল।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিন্ন দাবি, শিশুরা সেখানে কেবল ফুটবল খেলছিল। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, প্রায় আধা ঘণ্টা আটক রাখার পর স্থানীয় ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের হস্তক্ষেপে দুই শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আটক হওয়ার সময় আতঙ্কে কাঁদছিল শিশুরা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়- ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এক ইসরায়েলি সেনার সামনে ভয়ে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে ওই দুই শিশু। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা সেনাদের সঙ্গে কথা বলে শিশুদের মুক্ত করার চেষ্টা করছে, তবে সেনারা তাদের কথাকে উপেক্ষা করছে।
হেবরনের আইন আসকার পাড়ার বাসিন্দা বদর আল-তামিমি তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুকে বলেন, “শিশুরা ভয়ে কাঁদছিল। তারা জানেই না কী ঘটছে। কিছুদিন আগে সেনারা যে বাড়িটি দখল করে নিয়েছিল সেটি সংস্কার চলছিল। শিশুরা অজান্তে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। আর সেটাকেই গোয়েন্দাগিরি বলা হচ্ছে।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এক্স (টুইটার)-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, এটি ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতিদিনের নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও চলাফেরার অধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনি শিশু আহত, নিহত বা নির্বিচারে আটক হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম তীরে দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনিদের চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, কারফিউ ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের মতো নীতি চালু আছে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরুর পর পশ্চিম তীরেও পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই গণগ্রেপ্তার ও শিশুদের আটকের মতো ঘটনা ঘটছে।
প্রসঙ্গত, গাজায় গত দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় ২০ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    