

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর ইউরোপের বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার স্টেফানি পাইপার (৩১)–এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অস্ট্রিয়ার এই জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে হত্যা করে তার সাবেক প্রেমিক মরদেহ স্যুটকেসে ভরে স্লোভেনিয়ার ঘন জঙ্গলে পুঁতে রাখেন। গত সপ্তাহে ওই স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় অস্ট্রিয়া–স্লোভেনিয়া জুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
স্টাইরিয়ান স্টেট পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বর একটি পার্টি থেকে ফিরে নিখোঁজ হন পাইপার। মেকআপ, ফ্যাশন ও সংগীতবিষয়ক কনটেন্টের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
গণমাধ্যম জানায়, পার্টি শেষে এক বন্ধুকে বার্তা পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার কথা জানান তিনি। কিছুক্ষণ পর আরেক বার্তায় লেখেন—তার মনে হচ্ছে সিঁড়িঘরে কেউ লুকিয়ে আছে। এরপর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা জানান, সেদিন রাতে পাইপারের বাসা থেকে ঝগড়ার শব্দ পাওয়া যায়। তারা আরও দাবি করেন, তার সাবেক প্রেমিককে ভবনের ভেতরে দেখেছেন। পরিবার ও সহকর্মীরা যোগাযোগ না পেয়ে পরদিনই নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পরে ২৪ নভেম্বর স্লোভেনিয়ায় অস্ট্রিয়া সীমান্তের কাছে একটি ক্যাসিনোর পার্কিং লটে আগুনে পুড়তে থাকা লাল রঙের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটি ছিল পিটার এম.–এর, যিনি পাইপারের সাবেক প্রেমিক। আগুনের কাছাকাছি সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাকে সেখানেই আটক করা হয়।
অস্ট্রিয়ার অনুরোধে স্লোভেনিয়া পিটার এম.–কে হস্তান্তর করে। তদন্তকারীরা জানান, হত্যার পর তিনি প্রমাণ নষ্ট করতে সীমান্ত পাড়ি দেন।
কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে পিটার এম. স্বীকার করেন যে পার্টির পর তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে তিনি পাইপারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গাড়িতে করে স্লোভেনিয়ার মাজস্পার্ক এলাকার জঙ্গলে পুঁতে রাখেন।
২৮ নভেম্বর পুলিশ সেখানকার অভিযান চালিয়ে স্যুটকেসসহ পাইপারের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্টাইরিয়ান স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্তের ভাই ও সৎ বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ড গোপন করতে বা প্রমাণ নষ্ট করতে সহায়তা করেছিলেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন

