রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত বধ হলো যেভাবে, গোপন কথা জানা গেল...

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী যেন স্নায়ুচাপ চামলাতেই পারছিলেন না
expand
বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী যেন স্নায়ুচাপ চামলাতেই পারছিলেন না

বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচে নাটকীয়তা নতুন কিছু নয়। তবে কাতারের দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’ বনাম ভারত ‘এ’ দলের সেমিফাইনাল যেন এক থ্রিলার সিনেমার চেয়ে কম ছিল না।

বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী তখন উত্তেজনায় যেন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিলেন না।

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনাল নাটক শুরু করে ভারতের ইনিংসের শেষ বলে। ম্যাচে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। শেষ বলে হার্শ দুবে লং অনে ঠেলে ৩ রান নেন।

দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় উইকেটরক্ষক আকবর আলী স্টাম্প ভাঙতে গিয়ে ওভার থ্রো করেন। এই সুযোগে দুবে আর ১ রান করলে ম্যাচ হয় টাই। সুপার ওভারেও নাটক থেমে যায়নি। নানা উত্তেজনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক আকবর বলেন, “যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। শেষ বলে কী করব, সেটা মাথায় আসছিল না।

তবে আমি বল থ্রো করেছি। সুপার ওভারে বল করার সময় ভাবলাম, যেকোনো কিছু হতে পারে। দায়টা আমি নিচ্ছি।”

আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান করে। শেষ দুই ওভারে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও এসএম মেহেরব বিস্ফোরক বোলিং চালিয়ে ১২ বলে ৫০ রান যোগ করেন, ফলে ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে।

জয়ের লক্ষ্যে নামা ভারত শেষ দুই ওভারে ২১ রান দরকার হওয়ার পরও চাপ সামলাতে পারেনি। ১৯তম ওভারে ৫ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন রিপন। সুপার ওভারে প্রথম ২ বলেই ভারতকে ২ উইকেট হারাতে হয়।

আকবর বিশেষভাবে দুই ফিনিশার ইয়াসির ও মেহেরবের সঙ্গে রিপন মন্ডলের বোলিং প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, “আমি ও সোহান যখন ব্যাট করছিলাম, তখন লক্ষ্য ছিল ১৮০ রান।

তবে মেহেরব ও ইয়াসির দারুণভাবে শেষ করেছেন। ভারতের ওপেনারদের শুরু শক্তিশালী হলেও আমাদের বোলিং কার্যকর হয়েছে। রিপনের ১৯তম ওভার আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।”

ম্যাচে আকবর শুধুমাত্র ওভার থ্রো ভুল করেননি; গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি ক্যাচও ফেলেছেন। বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে।

তবে সর্বাধিক প্রভাব দেখিয়েছেন এসএম মেহেরব, ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান রিপন। মূল ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৫ রানে ১ উইকেট নেন এবং সুপার ওভারে জিতেশ ও রামানদীপ সিংয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পান তিনি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন