

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক এবং আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ইউটিউব চ্যানেলে দর্শকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি হজের (ওমরাহ) সফরে স্বামী-স্ত্রীর মিলন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন ছিল, ওমরাহ বা হজে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিলন হলে বা স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে করণীয় কী?
শায়খ আহমাদুল্লাহ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওমরাহ সফরে এহরাম (বিশেষ পোশাক) পরিধানের মাধ্যমে যখন তারা নিয়ত করেন, তখন থেকে নিয়ে তাওয়াফ, সাঈ শেষ করে পুরুষদের মাথা মুণ্ডন করা বা নারীদের চুল ছোট করা পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মিলন নিষিদ্ধ।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, এই নিষিদ্ধ সময়ে যদি তারা মিলিত হন, তবে তাওয়াফের আগে না পরে হয়েছে, তা দেখতে হবে:
তাওয়াফের ৪ চক্করের আগে: যদি তাওয়াফের প্রথম চার চক্কর শেষ করার আগেই স্বামী-স্ত্রী মিলিত হন, তবে তাদের ওমরাহ ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তাদেরকে আবার নতুন করে ওমরাহ আদায় করতে হবে (ক্বাযা)।
তাওয়াফের ৪ চক্করের পরে: যদি তাওয়াফের চার চক্কর সম্পন্ন করার পরে তারা মিলিত হন, তবে তাদের দম (পশু কোরবানি) দিতে হবে, যার ফলে তাদের ওমরাহ বিশুদ্ধ বলে গণ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, এহরামরত অবস্থায় যেসব বিষয় নিষিদ্ধ, সেগুলো না মানার কারণে স্বামী-স্ত্রীকে সম্মিলিতভাবে একটি ছাগল, দুম্বা বা ভেড়া মক্কায় জবাই করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এর দায়িত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, ভঙ্গ হয়ে যাওয়া ওমরাহটি তাদেরকে ক্বাযা আদায় করতে হবে।
তবে, ওমরাহ সফরে এহরামরত অবস্থায় যদি স্বামী-স্ত্রী মিলিত না হন, তবে স্বাভাবিক সময়ে মিলনে কোনো সমস্যা নেই।
মন্তব্য করুন
