

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রূপ হলো নামাজ। কোরআন-হাদিসে বারবার নামাজের গুরুত্ব ও মর্যাদা তুলে ধরা হয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নামাজকে দ্বীনের স্তম্ভ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম করো এবং ফজরের নামাজও কায়েম করো।
নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে উপস্থিতি থাকে (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)। আরেক স্থানে তিনি বলেন, নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, নামাজ মানুষকে কেবল ইবাদতের কাছেই নয়, নৈতিকতার প্রতিও দৃঢ় রাখে।
জায়নামাজে কাবাঘরের ছবি থাকলে রায় কী?
আমাদের চারপাশে প্রচলিত অনেক জায়নামাজেই কাবা শরিফ, মসজিদে নববী কিংবা বায়তুল মুকাদ্দাসের ছবি আঁকা থাকে। তখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসে- এতে নামাজ আদায় হবে কি না, কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছবির ওপর পা পড়লে গোনাহ হবে কি না।
রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল, তরুণ মুফতি মোহাম্মদ ইয়াহইয়া শহিদ কালবেলা এ বিষয়ে বলেন, কাবা ইসলামের নিদর্শনগুলোর একটি। আর ইসলামের নিদর্শনাবলিকে সম্মান করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে কেউ আল্লাহর সম্মানযোগ্য নিদর্শনগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, তার জন্য এটা পালনকর্তার কাছে কল্যাণকর (সুরা হজ : ৩০)।
মুফতি ইয়াহইয়া ব্যাখ্যা করে বলেন....
যদি জায়নামাজে কাবা, মসজিদে নববী বা অন্য কোনো পবিত্র স্থানের ছবি থাকে এবং তা মনোযোগ ও খুশু-খুজুতে বিঘ্ন না ঘটায়, তবে সেই জায়নামাজে নামাজ পড়া বৈধ।
তবে ছবির ওপর পা পড়া শিষ্টাচারবিরোধী ও অসম্মানের শঙ্কাজনক। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
যদি কারও মন একাগ্র না থাকে বা ভক্তি-ভয়ের ঘাটতি হয়, তাহলে এমন জায়নামাজ ব্যবহার মাকরুহ হিসেবে গণ্য হবে।
আবার অনেক সময় অমুসলিমরা ভুলভাবে মনে করতে পারে মুসলমানরা এই ছবিগুলোকেই পূজা করে। এজন্য সাদামাটা জায়নামাজ ব্যবহার করাই উত্তম।
যেসব জায়নামাজে কাবার ছবি আছে, সেগুলোতে নামাজ আদায় বৈধ এবং এতে নামাজ মাকরুহ হয় না। অনিচ্ছাকৃতভাবে ছবির ওপর পা পড়লেও গোনাহ হবে না, তবে এটি দৃষ্টিকটু ও শালীনতার পরিপন্থী। সবচেয়ে উত্তম হলো, একান্ত মনোযোগ ও বিনয় বজায় রাখার জন্য সরল ও ছবি ছাড়া জায়নামাজ ব্যবহার করা।
সূত্র
ফতোয়া নম্বর : ৬২৬৪০, দারুল ইফতা, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।
ফতোয়া নম্বর : ১৪৪৪০২১০১৬৬১, দারুল ইফতা, জামিয়া ইসলামিয়া আল্লামা মুহাম্মদ ইউসুফ বান্নুরি টাউন, পাকিস্তান।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    