

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সম্প্রতি ঋণের ভারে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ও পরে তার পরিবারের ঋণ করে চল্লিশা পালন করার ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ সমালোচনা করে বিষয়টির ধর্মীয় দিক তুলে ধরেছেন।
তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, একজন ঋণগ্রস্ত মানুষ আত্মহত্যা করলেন, অথচ মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে ঋণ নিয়ে চল্লিশা আয়োজন করতে হয়েছে।
তার মতে, দ্বীনি জ্ঞানের ঘাটতি ও ভুল ধারণাই মানুষকে এই ধরনের কুসংস্কারে জড়িয়ে ফেলে। ইসলাম যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ধর্ম, যেখানে আর্থিক ইবাদত কেবল সামর্থ্যবানদের জন্য নির্ধারিত।
অথচ সমাজে এমনভাবে চল্লিশা প্রথা গড়ে উঠেছে, যেন এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক—even ঋণ বা সম্পদ বিক্রি করে হলেও তা পালন করতে হয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, আজকাল সুদবিহীন ঋণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ফলে সুদের বোঝায় গরিবরা আরও বিপদে পড়ে যাচ্ছে, আর মহাজনরা হচ্ছে ধনী থেকে ধনীতর। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই চিত্রই স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনের উচিত ছিল পরিবারকে সহায়তা করে ঋণ পরিশোধে সাহায্য করা। কিন্তু তার পরিবর্তে তারা মৃতের পরিবারকে ঋণ নিয়ে চল্লিশা করতে বাধ্য করেছে। এমন আয়োজন থেকে খাবার খাওয়ার বিষয়টিও তিনি নৈতিক প্রশ্ন হিসেবে তুলেছেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এখনও চল্লিশা সামাজিকভাবে বাধ্যতামূলক ধরা হয়। তবে ইসলামি পণ্ডিতদের মতে এটি মূলত একটি কুসংস্কার, যা ইসলামের শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, এ ঘটনা সমাজে দ্বীনি অজ্ঞতার করুণ বাস্তবতা তুলে ধরে।
মন্তব্য করুন
