শুক্রবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের শীর্ষ ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্বে যারা

এনপিবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইউসুফ আহমেদ মানসুর
expand
রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইউসুফ আহমেদ মানসুর

আজ অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বার্ষিক কাউন্সিল। ২০২৬ সালের নেতৃত্ব নির্বাচন করলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক এ ছাত্রসংগঠনটি। শিবিরের সাংগঠনিক ধারাবাহিকতায় সামনের বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এবং সেক্রেটারি সিবগাতুল্লাহ সিবগা।

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ কাউন্সিল সদস্য সম্মেলনে জাহিদুল ইসলামকে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে ২০২৪ সালের ১ মার্চ ছাত্রদলের দায়িত্বে আসেন রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং নাছিরউদ্দিন নাসির।

দুই বছরের মেয়াদের এ কমিটি ইতিমধ্যেই ২১ মাস অতিবাহিত করেছে। ২০২৪ সালের ১৫ জুন তারিখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাক্ষরে ২৬০ সদস্যের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায় ছাত্রদল।

এছাড়া বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে নাম পরিবর্তন করে ছাত্রশক্তি নাম নেওয়া এনসিপির ছাত্রসংগঠনটির দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদ আহসান ও আবু বাকের মজুমদার।

এনসিপির ছাত্রসংগঠনটির শুরুই হয়েছিল একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিলুপ্ত করে দিয়ে। তবে, নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে বাগছাস বিলুপ্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে আবার জাগ্রত করে এর নেতৃবৃন্দ।

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। এ সংগঠনটির কাউন্সিল হয় ২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর। এর সভাপতি হিসেবে ইউসুফ আহমেদ মানসুর এবং সেক্রেটারি হিসেবে শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান দায়িত্ব পান। এরপর ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তারিখে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।

স্বৈরাচার হাসিনার দীর্ঘ ১৭ বছরের শাষনামলে ছাত্রলীগ এবং কয়েকটি বাম সংগঠন ছাড়া আর কোনো দল স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ যেতে পারেননি। নিয়মিত নির্যাতন ও হামলার শিকার হতে হয় বিরোধীদের। কোটা আন্দোলন হতে উঠে আসা নূরুল হক নূরকে অমানবিক হামলার শিকার হতে হয় ছাত্রলীগের দ্বারা।

ছাত্রলীগের হামলা এবং মামলার মধ্যেও সীমিতভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যায় ছাত্রদল, শিবির এবং অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তবে এরমধ্যেও নিয়মিত কাউন্সিল সম্পাদন করে ছাত্রশিবির। গণঅভ্যুত্থানের পরে এ পর্যন্ত দুটি কাউন্সিল করলো ইসলামী ভাবধারার এ সংগঠনটি।

৫ আগস্টের বিজয়ের পরে সবচেয়ে বেশি রাজনীতির চর্চা করেছে ছাত্রশিবির। দেশের প্রধান চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ও ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের একটি ছাড়া সবগুলো পদ শিবির প্যানেলের।

এছাড়া সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদেও নির্বাচিত হয় শিবির প্যানেল।

ছাত্রসংসদগুলোতে এমন পরাজয় রাজনীতিতে ছাত্রদলকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X