

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রায় দেড় যুগ লন্ডনে অবস্থানের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে একই সঙ্গে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা ও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখার কথাও জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর একজন রাজনৈতিক নেতা সরাসরি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসছেন—এটি একটি ভালো দিক। তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে কী ধরনের ভূমিকা রাখেন এবং তার ঘোষিত পরিকল্পনাগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করতে চান, সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এ বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই সুরে কথা বলেন। তিনি জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরা ইতিবাচক ঘটনা হলেও জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান অনেকটাই নির্ভর করবে তিনি কী ধরনের ভূমিকা পালন করেন তার ওপর।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখেন তারেক রহমান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তিনি সড়কপথে একটি বিশেষ বাসে করে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনার উদ্দেশে রওনা হন। প্রায় তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর তিনি সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান।
তার আগমনকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আবেগ লক্ষ্য করা যায়। মঞ্চে উঠে তিনি হাত নেড়ে উপস্থিত জনতার শুভেচ্ছার জবাব দেন। বক্তব্যে তিনি একটি নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং যেমন বলেছিলেন “আই হ্যাভ এ ড্রিম”, তেমনি তিনি দেশবাসীর সামনে ঘোষণা দেন—“আই হ্যাভ এ প্ল্যান”। দেশের মানুষের জীবনমান ও ভবিষ্যৎ বদলাতেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন, আর সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই তা সম্ভব।
পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ২০০৭ সালের ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাবাসের পর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকেই তিনি দীর্ঘ সময় প্রবাসে অবস্থান করেন।
দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অনুভূতি প্রকাশ করে লেখেন, “দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে।”
মন্তব্য করুন

