

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সংবাদ সম্মেলনে এসে কেঁদেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির এই দুই নেতাকে কাঁদতে দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সংবাদটি নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, আমরা সেটা কখনো ভাবিনি। আশা করছিলাম, তিনি আগের মতোই আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আপনারা এরই মধ্যে শুনেছেন ড. শাহাবুদ্দিনের ঘোষণায় আজ ভোর ৬টায় গণতন্ত্রের মা, আমাদের অভিভাবক, আমাদের জাতীয় অভিভাবক আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। এই শোক, এই ক্ষতি অপূরণীয়। এই ক্ষতি জাতি কোনোদিন পূরণ করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, যে নেত্রী সারাটি জীবন জনগণের অধিকারের জন্য, কল্যাণের জন্য একটি তার সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন সে নেত্রী আমাদের মাঝে আর নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও বিশাল একটি শূন্যতা তৈরি হলো।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংকটে শোকে মাথার ওপর যেমন মায়ের একটি ছায়া থাকে, আজকে জাতি যেন সে ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো। তিনি অসুস্থ ছিলেন, হাসপাতালে ছিলেন, কখনো বাসায়, এতে করেও আমাদের মনে হতো, একজন মা তো আছেন।
সে কারণে আমরা এতটা শক্তি পেতাম। এটা বোঝানোর এবং বলার ভাষা আমি পাচ্ছি না। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে একটা দীর্ঘ সময় যার নেতৃত্বে ছায়ায় বেড়ে ওঠা, তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এটা বড়ই বেদনার।
তিনি আরো বলেন, এই শোক এবং সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য খুব মুশকিল। এত নিপীড়ন সহ্য করে চোখের সামনে সন্তানের লাশ দেখে, শুধু দেশ এবং গণতন্ত্রের জন্য অটুট মনোবল দিয়ে তিনি টিকে থেকেছেন। সারা দেশ এবং সারা বিশ্ব নিপীড়িত মজলুম নেত্রীর জন্য গভীর শোক জানাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
