আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া সাবেক এমপি বুবলী

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সোমবার সকালে ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদী পৌরসভার প্রয়াত সাবেক মেয়র লোকমান হেসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য ছিলেন। এ কমিটিতে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্তি করা হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে নরসিংদী থেকে এমপি নির্বাচিত হন বুবলী। তার স্বামী, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন, ২০১১ সালের ১ নভেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। বুবলীকে কেন্দ্র করে নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের একটি বলয় গড়ে ওঠে। তিনি স্বামীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি চালিয়ে আসছেন।

২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর আত্মহত্যার হুমকির স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে নিয়েছিলেন বুবলী। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার দায়ে নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। একই সঙ্গে দল থেকে তাকে বহিষ্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বুবলী। দুই সন্তানসহ আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি। তবে পরে তিনি স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করে নেন।