

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার দুটি লকারে গণহত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনার নামে থাকা ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি সোনার বার, কয়েন, মুক্তা, হীরা এবং বিভিন্ন মূল্যবান পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সামগ্রীর মান যাচাই ও মূল্য নির্ধারণের কাজ এখনো চলছে।
সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত সম্পদগুলি বর্তমানে ব্যাংকের অন্য একটি সিল করা লকারে রাখা হয়েছে। বিষয়টি দেশের বিভিন্ন স্থান ও অফিসে এখন আলোচনা ও নজরকাড়া খবর হিসেবে স্থান পাচ্ছে।
একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে শেখ হাসিনা সাধারণ জীবনযাপন করার কথা বলতেন এবং তার কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ নেই—এমন বক্তব্য বারবার দিয়েছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে পাওয়া উপহারসমূহ লকারে রাখা হয়েছে।
যদিও এ ধরনের উপহার সামগ্রী ব্যক্তিগতভাবে রাখার নিয়ম নেই। আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে এটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এদিকে, পূবালী ব্যাংকের লকারও ভাঙা হয়েছে। সেখানে কেবল একটি খালি বস্তা পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে আগেই মূল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (সিআইসি) ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে লকার, স্থিতি এবং এফডিআরের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়। তবে পূবালী ব্যাংক তথ্য গোপন রাখায় ব্যবস্থাপনা পরিচালককে শোকজ করা হয়।
আয়কর নথিতে শেখ হাসিনা ১৩ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারের তথ্য দিয়েছেন। তবে ব্যাংকের লকার থেকে উদ্ধারকৃত ৮২৩ ভরি স্বর্ণালংকারের বাজারমূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
এছাড়া হীরা ও অন্যান্য মূল্যবান পাথরের বাজারমূল্য নির্ধারণের পর এই পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে, আয়কর নথিতে সম্পদের পরিমাণ যথাযথভাবে জানানো হয়নি। আয়কর আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
লকার ভাঙার কাজ গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলেছে।
এ অভিযানে দুদক ও সিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। লকারের চাবি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও লকারের মালিকের কাছে থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া মেনে তা ভাঙা সম্ভব হয়েছে।
মন্তব্য করুন

