

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বেশিরভাগ পদে জয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও নৃবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।
তার পদত্যাগের পর অনলাইন কর্মী ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি ড. স্নিগ্ধার পোশাক, টিপ ব্যবহারসহ নানা প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এ বিষয়টিকে তিনি স্পষ্টত সাইবার বুলিং আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান।
নিজের প্রোফাইলে ড. স্নিগ্ধা লেখেন, “বৃশ্চিক রাশির মানুষ যদি অকারণে বিরক্ত না করা হয়, তবে সে আঘাত করবে না। কিন্তু কেউ যদি কারণ ছাড়া আক্রমণ করে, তবে সে ছাড়ও দেবে না। আর ঘটনাচক্রে আমার রাশিও বৃশ্চিক।”
পিনাকীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আমাকে ভিন্ন রাজনৈতিক রঙে রাঙানোর কিংবা সাইবার বুলিং করার যে চেষ্টা করছেন, তাতে সফল হওয়ার সুযোগ খুব কম। দক্ষিণপন্থীদের উসকে দেওয়ার এই অপপ্রচার আপনাকেও অস্বস্তিতে ফেলবে। আমি আপনার মতো বিদেশে বসে রাজনীতি করি না। বাংলাদেশে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি একাই লড়েছি।”
ড. স্নিগ্ধা স্পষ্ট করে জানান, তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেত্রী ছিলেন না। তার প্রশ্ন—জাকসু কমিশন থেকে পদত্যাগের ঘটনায় পিনাকীর এত অস্থিরতার কারণ কী?
নিজেকে পরিচয় করিয়ে তিনি বলেন, “আমি একজন শিক্ষক, আমার নাম ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা। শুনেছি আপনার বাবাও শিক্ষক ছিলেন। প্রকৃত শিক্ষকের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সততা।”
শেষে তিনি যোগ করেন, “আমি কোনো সস্তা হুমকি বা ভয়ভীতি দিয়ে দমে যাওয়ার মানুষ নই। যদিও এখনো কোনো গণমাধ্যমে আমি সরাসরি কিছু বলিনি, তারপরও দেখছি—কিছু সংবাদমাধ্যম আমার পদত্যাগপত্রের শেষাংশ উদ্ধৃত করেছে।”
মন্তব্য করুন
