

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের দাবিতে করা চূড়ান্ত আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বে সাতজন বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর চূড়ান্ত আবেদন নিয়ে চতুর্থ দিনের শুনানি সম্পন্ন হয়। এদিন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৩ অক্টোবর, যেখানে আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। দ্বিতীয় দিনের শুনানি ২২ অক্টোবর শেষ হয়; ওইদিন রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ড. শরীফ ভূঁইয়া। প্রথম দিনের শুনানি হয়েছিল ২১ অক্টোবর।
২০১১ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগে সাতজন বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেছিল। এর আগে, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে এই ব্যবস্থার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়, যা ২০০৪ সালে চূড়ান্ত শুনানির পর বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্যরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম. হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। পরবর্তীতে, ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবং নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জমা দেন।
মন্তব্য করুন

