

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুখ অতিরিক্ত ঘামে কেন, এর সমাধান কী? জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মুখে অতিরিক্ত ঘাম: কারণ ও সমাধান
শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে ঘাম শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
তবে কারও ঘাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হলে সেটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়।
এ সমস্যা শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে—যেমন হাতের তালু, পায়ের তলা, বগল কিংবা মুখমণ্ডলে।
কেন মুখে অতিরিক্ত ঘাম হয়?
হাইপারহাইড্রোসিস: কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
বংশগত প্রভাব: পরিবার থেকে এ প্রবণতা আসতে পারে।
গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকলাপ: মুখে একক্রিন গ্রন্থি বেশি সক্রিয় হলে বেশি ঘাম হয়।
আবেগজনিত কারণ: উদ্বেগ বা চাপের সময় বেশি ঘামতে পারে।
ওষুধের প্রভাব: কিছু ওষুধ, যেমন ইনসুলিন বা নির্দিষ্ট স্নায়ুবিষয়ক ওষুধ, ঘাম বাড়াতে পারে।
অন্যান্য কারণ: মেনোপজ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, অথবা আবহাওয়ার প্রভাব।
সমাধানের উপায়
অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার: অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত পণ্য মুখের ঘাম কমাতে সহায়ক হতে পারে।
বোটক্স ইনজেকশন: এটি ঘামগ্রন্থির স্নায়ু কিছু সময়ের জন্য নিষ্ক্রিয় করে, ফলে ঘাম কমে যায় (৮ মাস বা তার বেশি স্থায়ী হতে পারে)।
ওষুধ সেবন: চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিকোলিনার্জিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
পাউডার ব্যবহার: সাধারণ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি।
সার্জারি: সবকিছু কাজে না এলে শেষ ধাপে স্নায়ু কেটে ফেলার অস্ত্রোপচার করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুখে অতিরিক্ত ঘাম জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে না, তবে এটি আত্মবিশ্বাস কমাতে, সামাজিক অস্বস্তি তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মান নষ্ট করতে পারে। তাই সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানো জরুরি।
মন্তব্য করুন
