রবিবার
০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলিল না থাকলেও চলবে, এই প্রমাণগুলো থাকলেই জমির মালিক আপনি

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
সংগৃহীত ছবি
expand
সংগৃহীত ছবি

জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিল থাকা অপরিহার্য-এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও, এই ধারণা এখন বদলাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনার আলোকে বাংলাদেশে জমির দলিল না থাকলেও আইনি প্রক্রিয়ায় মালিকানা প্রমাণ করা সম্ভব।

জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিল ছাড়াও আরও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বা প্রমাণ আইনি স্বীকৃতি পেতে পারে। এই বিকল্প প্রমাণগুলোর মাধ্যমেও আপনি আপনার জমির ওপর আইনি স্বত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

সুতরাং, জমির দলিল হারিয়ে গেলেও বা অন্য কোনো কারণে দলিল না থাকলেও, এই বিকল্প নথিপত্রগুলো ব্যবহার করে জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা এখন বাস্তব।

দলিল হারিয়ে গেলেও ভয় নেই: অনেক সময় দেখা যায় জমির দলিল হারিয়ে যায়, পুড়ে যায় বা শত্রুতাবশত নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি কখনো তা করা হয় পারিবারিক বিরোধের জেরে। এই অবস্থায় চিন্তার কিছু নেই—যদি আপনি নিচের ৫টি মূল প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি আইনত জমির প্রকৃত মালিক বলে বিবেচিত হবেন।

জমির মালিকানা দাবি করার জন্য ৫টি মূল প্রমাণ

খতিয়ান (CS, SA, RS, BS ইত্যাদি): সরকার পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী জমির মালিকানা, দাগ নম্বর, পরিমাণ, সীমানা, খাজনা প্রভৃতি তথ্যসহ নথিপত্র। এটি ঐতিহাসিক মালিকানার প্রথম ও প্রধান প্রমাণ।

নামজারি/খারিজ : ক্রয় বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমি নিজের নামে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়। এতে সরকারি খতিয়ানে আপনার নাম উঠে আসে।

ভোগদখলের প্রমাণ: আপনি বা আপনার পরিবার জমি কত বছর ধরে চাষ করছেন বা বসবাস করছেন, সেই ব্যবহারই প্রমাণ করে জমির উপর অধিকার। আইনি ভাষায় এটিই প্রকৃত, গঠনমূলক ও যৌথ দখলের স্বীকৃতি।

খাজনার রশিদ : নিয়মিত খাজনা পরিশোধ জমির আইনি মালিকানার বড় প্রমাণ। বর্তমানে অনলাইনেও খাজনা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করা সম্ভব।

ডিসিআর : দলিল ছাড়াও নামজারির ভিত্তিতে ডিসিআর পাওয়া যায়, যা জমির সরকারি রেকর্ডে মালিকানা পরিবর্তনের বৈধ দলিল হিসেবে কাজ করে।

নাম না থাকলেও বাটোয়ারায় অধিকার থাকবে

পরিবারে জমি বণ্টন না হলে এবং পূর্বপুরুষদের দখলে জমি থাকলে, রেকর্ড একাধিক ভাইয়ের নামে থাকলেও অন্য ভাই-বোনরা আইনি অধিকার পাবে। এ ক্ষেত্রে বাটোয়ারা মামলা করলে আইনি অংশ আদায় সম্ভব।

অতিরিক্ত দলিল ও হলফনামা যেগুলো দরকার হতে পারে

  • জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট
  • নাম সংশোধনের হলফনামা
  • ধর্ম পরিবর্তনের হলফনামা
  • বিবাহ/তালাক সম্পর্কিত হলফনামা
  • কোড ম্যারেজ বা যৌথ বিবাহের হলফনামা

যেকোনো হলফনামা বা এফিডেভিট নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আইনগত পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক

আপনার কাছে দলিল না থাকলেও যদি এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র-খতিয়ান, নামজারি, ভোগদখল, খাজনা রশিদ ও ডিসিআর-থাকে, তাহলে আপনি আইন অনুযায়ী জমির বৈধ মালিক হিসেবে বিবেচিত হবেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন