

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম জাতীয় পে স্কেলের সুপারিশ নিয়ে আলোচনায় বসছেন পে কমিশনের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব সদস্য।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় সচিবালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকে পে স্কেলের সুপারিশ চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
পে কমিশনের এক কর্মকর্তা আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগেও বেশ কয়েক ধাপে সভা করেছে কমিশন।
এতে পে স্কেলের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে চূড়ান্ত সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে কিনা, নিশ্চিত নয়।
অনেক বিষয়ে জটিলতা থাকায় আরও একাধিক সভার প্রয়োজন হতে পারে।
কমিশন সূত্রে খবর, অনলাইনে পাওয়া মতামত ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাবনা বিশ্লেষণের পরে সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসছে কমিশন।
এ বৈঠকে সুপারিশ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আলোচনা হবে। তবে পে স্কেলের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত থাকায় এক বৈঠকে সুপারিশ চূড়ান্ত করাটা কঠিন হবে।
জানা গেছে, নবম পে-স্কেল নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন থেকে প্রাপ্ত মতামতগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে জাতীয় বেতন কমিশন (পে-কমিশন)। তবে এখনো সম্পূর্ণ প্রতিবেদন লেখার কাজ করা যায়নি বলে জানিয়েছে পে-কমিশন।
সোমবার কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীদের সাম্প্রতিক মহাসমাবেশ কিংবা বুধবার থেকে কঠোর কর্মসূচি-কোনো কিছুতেই বিচলিত নন তারা।
বাস্তবসম্মত একটি সুপারিশ প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দিয়েছে কমিশন। এজন্য প্রতিটি সংস্থা, দপ্তর এবং সংগঠন থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাব গভীরভাবে পর্যালোচনা করে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কর্মচারীরা আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন ঠেকানো কিংবা আশ্বাস দেওয়া কমিশনের কাজ নয়। কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের সুপারিশ প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছে।’
নবম পে-স্কেলের প্রতিবেদন জমা দিতে কতদিন সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কমিশনের রিপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনারা (সাংবাদিক) কোনো না কোনোভাবে সবুজ সংকেত পেয়ে যাবেন। তখন কমিশনের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।’
মন্তব্য করুন

