

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে আলোচিত পাকিস্তানি অভিনেতা ফিরোজ খান আবারও আলোচনায়। এবার শোনা যাচ্ছে, তার দ্বিতীয় সংসারেও ভাঙনের সুর।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন সৈয়দা আলিজা সুলতানকে। সেই সংসার শেষ হয় অভিযোগ–বিবাদের মধ্যেই। আলিজা প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন, ফিরোজ তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
এমনকি আঘাতের চিহ্নসহ ছবি প্রকাশ করে তিনি ঝড় তোলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখন অনেকেই ফিরোজকে ‘বউ পেটানো অভিনেতা’ বলে সমালোচনা করেন।
প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর চিকিৎসক জয়নবের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধেন ফিরোজ।
তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়নবের কিছু পোস্ট নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়—এই সম্পর্কও নাকি ভাঙনের পথে। একটি বিনোদন পেজে জয়নবের ইনস্টাগ্রাম নোটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে ফের আলোচনায় আসে ফিরোজ–জয়নব দম্পতি।
ওই পোস্টে জয়নব লিখেছেন বলে দাবি করা হয়, “আমি ক্লান্ত—অবিরাম মানসিক চাপ, অবিশ্বাস আর অশান্তিতে ভরা সম্পর্কে আর থাকতে পারছি না।
প্রতিটি কথোপকথন যেন একেকটা লড়াই। এমন সম্পর্ক থেকে মুক্তি চাই। আমি জানি, আমি ভালোবাসা, সম্মান আর কোমলতার যোগ্য।”
একই লেখায় আরও বলা হয়, “বহুবার ক্ষমা করেছি, কিন্তু ক্ষতগুলো সারেনি। এখন বুঝতে পারছি, এমন সম্পর্কে আটকে আছি যা আমার জীবনশক্তি নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
তাই নিজের মানসিক শান্তির জন্য এই অধ্যায় শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি।”
এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার পর ফিরোজ খান নীরব থাকলেও, তার পুরোনো একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা যায় তিনি জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ এনেছিলেন।
পরে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়, এবং তিনি দাবি করেন, তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
অন্যদিকে, গুঞ্জন ছড়ানো পেজের নিচে মন্তব্য করে জয়নব জানান, “এগুলো ভুয়া খবর।
আমি এমন কোনো পোস্ট করিনি। কেউ আমার স্টোরিতে ঢুকে এটি ছড়িয়েছে। দয়া করে এই ধরনের পেজ রিপোর্ট করুন।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ফিরোজ খানের প্রথম বিবাহবিচ্ছেদ হয় আলিজা সুলতানের সঙ্গে।
তাদের দুটি সন্তান রয়েছে—সুলতান খান ও ফাতিমা খান। সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে এখনো আইনি লড়াই চলছে। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ।
মন্তব্য করুন
