

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইল্যান্ডে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলছে মিস ইউনিভার্স ২০২৫-এর ৭৪তম আসর। এবার বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। আগামী ২১ নভেম্বর জানা যাবে কার মাথায় উঠবে প্রতিযোগিতার কাঙ্ক্ষিত মুকুট। তার আগে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সেশনে নিজেদের দেশ ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল কস্টিউম রাউন্ড, যেখানে প্রতিযোগীরা নিজেদের জাতীয় ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলছেন বিশেষ পোশাকে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিথিলা ন্যাশনাল কস্টিউম হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাঙালি নারীর চিরায়ত পোশাক শাড়ি—তাও আবার সম্মান ও ঐতিহ্যের প্রতীক সাদা জামদানি। তার পরা জামদানিতে শাপলার মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হওয়ার পাশাপাশি শান্তি, পবিত্রতা এবং বাঙালি নারীর দৃঢ়তাকে প্রতিনিধিত্ব করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লুকটি শেয়ার করার পর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশংসায় ভেসেছেন মিথিলা।
ছবির ক্যাপশনে মিথিলা লিখেছেন, “মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল কস্টিউম—দ্য কুইন অব বেঙ্গল।” তিনি জানান, এই জাঁকজমকপূর্ণ জামদানি শাড়িটি বাংলাদেশের রাজকীয় ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। একসময় মোগল সম্রাট, নবাব এবং বাংলার অভিজাত নারীদের জন্য বোনা হতো এমন জামদানি, যার প্রতিটি সুতা বহন করে ইতিহাস, শিল্প, নিবেদন এবং চিরায়ত সৌন্দর্যের গল্প।
মিথিলার ভাষায়, এই বিশেষ জামদানিটি সম্পূর্ণ হাতে বোনা, আর তৈরি হতে লেগেছে প্রায় ১২০ দিন। শাড়ির প্রতিটি অংশে শাপলার নকশা ফুটে উঠেছে, যা বাংলাদেশের মাটির শান্তি ও অদম্য শক্তিকে তুলে ধরে।
শাড়ির পাশাপাশি নজর কেড়েছে মিথিলার বিশেষভাবে তৈরি জুয়েলারি ব্লাউজ এবং অলংকার। ব্লাউজ ও গয়নায়ও ছিল শাপলার নিখুঁত উপস্থাপন। সোনালি গয়না ও নকশায় প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার অনুগ্রহ, দৃঢ়তা ও রাজকীয় ঐতিহ্যের দীপ্তি। মিথিলা জানান, তাঁর কস্টিউমের প্রতিটি সুতা, প্রতিটি অলংকার বহন করছে বাংলাদেশের গল্প—জামদানির বৈভব, শাপলার শান্ত সৌন্দর্য এবং বাঙালি সংস্কৃতির শক্তি।
মিস ইউনিভার্স মঞ্চে মিথিলার এই উপস্থাপন দেখাচ্ছে, বাংলাদেশের সৌন্দর্য যেমন মুগ্ধ করে, তেমনি তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, ইতিহাস ও কারুশিল্পও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। এখন অপেক্ষা ২১ নভেম্বরের—মুকুটটি শেষ পর্যন্ত কার মাথায় ওঠে, তা জানার জন্য।
মন্তব্য করুন
