

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্নমত।
একদিকে ছাত্রশিবির চাইছে নির্বাচন পূর্বঘোষিত তারিখ, অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর, যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে পূজার ছুটির পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল বলেছে, পূজার ছুটি ও কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে ক্যাম্পাসে ভোটারদের উপস্থিতি কমে গেছে।
তাই তারা চায় সর্বোচ্চ ভোটার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন পূজার ছুটির পরে অনুষ্ঠিত হোক। অপরদিকে ছাত্রশিবির বলছে, তারা ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন চায়।
প্রশাসন থেকে একটা বোল্ড স্টেটমেন্ট চায় তারা, যেন ২৫ তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারা জানান, তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকবে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাবি শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা দেখছি গত ৪৮ ঘণ্টার আগে যে উৎসবমুখর পরিবেশ এবং ভোটার ও প্রার্থীদের যে আনাগোনা ছিল সেটা এখন অনেকটায় স্থবির হয়ে গেছে। ভোটার নেই বললেই চলে।
বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাসায় চলে গেছে। আমরা চাই সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি প্রার্থীদের একটা সুষ্ঠু নির্বাচন।
একইদিনে বিকেল ৩টায় রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে একটি সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন রাবি শাখা ছাত্রশিবির।
সেখানে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে, প্রার্থী-শিক্ষার্থী সবারই অনেক সময় ব্যয় হয়েছে এ নির্বাচনের পিছনে।
অনেক প্রার্থী পরীক্ষার পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছে। রাকসু নির্বাচনের যে আমেজ তৈরি হয়েছে, যথাসময়ে নির্বাচন না হলে সেটা আর থাকবে না।
তাই আমাদের বোল্ড স্টেটমেন্ট হচ্ছে ২৫ তারিখের নির্বাচন, ২৫ তারিখেই চাই। আমরা ছাত্রশিবিরসহ অনেক প্যানেলের প্রার্থীরা চায় যে যথাসময়ে নির্বাচন হোক। আর না হলে সবাই এটার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
২৫ তারিখে নির্বাচন হলে কেমন অংশগ্রহণমূলক হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে ভোট কাস্টিং যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে হয়।
শিক্ষার্থীদের ধরে রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের এবং প্রশাসন যেখানে নিশ্চিত করতে পারছে না ২৫ তারিখ নির্বাচন হবে, সেজন্য শিক্ষার্থীরা দুলাচলে পরে বাসায় চলে যাচ্ছে।
আমি মনে করি, প্রশাসন যদি একটা বোল্ড স্টেটমেন্ট দেয় যে, ২৫ তারিখেই রাকসু হবে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সেক্রিফাইস করে ক্যাম্পাসে থাকবে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।
মন্তব্য করুন
