

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো রেজাউল করিম সিন্ডিকেট মিটিং শেষে এ তথ্য জানান।
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা "জকসু আমার অধিকার, শিক্ষার্থীদের অধিকার। রইস না জকসু? জকসু জকসু। দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না।" সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
উল্লেখ্য, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়। এ সময় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানায় প্রশাসন।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় জকসু নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারা যাওয়ায় জরুরি অনলাইনে সিন্ডিকেট সভা ডাকে জবি প্রশাসন। এরপর সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় জবি প্রশাসন।
২০০৫ সালে কলেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫’ এ ছাত্র সংসদ সম্পর্কিত কোনো ধারা না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর একবারও জকসু নির্বাচন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহুবার নির্বাচন দাবি করলেও ‘আইনি জটিলতার’ কারণে তা আয়োজন করা যায়নি। শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ২৮ অক্টোবর জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। শুরুতে ভোটগ্রহণের জন্য ২২ ডিসেম্বর দিন ঠিক করা হলেও ভূমিকম্পে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ৮ দিন পিছিয়ে তা ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
মন্তব্য করুন
