

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংগ্রামী ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শিক্ষকগণের সংগঠন সাদা দল ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক হতাশাজনক বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে পাবলিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাবির মধুুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলালসহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, জুলাই পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতে সংগতকারণে সাদা দল নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিভিন্ন অনুষদের ডীন এবং ১৮টি হলের মধ্যে ১৬টি হলের প্রভোস্টগণ সরাসরি সাদা দলের সাথে সম্পৃক্ত।
এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের ১০জন সদস্যের মধ্যে ৮ জনই সাদা দল ও ২ জন পিংক দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের অধিকাংশই সাদা দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত।
আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, নির্বাচন পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্ব যখন সাদা দলের শিক্ষকদের হাতে ছিল; তখন নিজেদের বিবৃতিতে দাবি করা নির্বাচনে ‘জালিয়াতি ও অনিয়ম’ প্রসঙ্গটি এটি দ্বিচারিতা ও দ্বিমূখী আচরণের পর্যায়ে পড়েছে। এতে করে বিবৃতি দানকারী শিক্ষকগণের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
শিক্ষকদের সংগঠন হিসেবে ইউটিএল মনে করে, ডাকসু শুধু ছাত্র নেতৃত্বের মঞ্চ নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ, নিরাপত্তা, নীতি ও গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত।
তাই শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা ডাকসু নির্বাচনের শুরু থেকে আমাদের মতামত উপস্থাপন, নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আশংকা এবং দাবি উপস্থাপন, পরামর্শ প্রদান, নির্বাচনের দিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি।
এ ছাড়া আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবৃতি দিয়েছি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ নিরাপদ ক্যাম্পাস; যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ তাদের শিক্ষা ও গবেষণার কাজে কোনো রকমের বাধা ছাড়া মনযোগী থাকবেন।
ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল শিক্ষার্থীদের অবমাননা নয়; এটি গণতন্ত্র ও জুলাইয়ের অর্জনকে কলঙ্কিত করে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- শিক্ষার্থীদের রায়কে অসম্মান করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা, শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মুক্তচিন্তার চর্চা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীরা যে গণতান্ত্রিক বিজয় অর্জন করেছেন, তা কার্যকর নেতৃত্বের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে সকলের প্রচেষ্টা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
