রবিবার
০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রী সংস্থার সাথে যুক্ত নই, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: ইমু

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম
জবি শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা ইমু
expand
জবি শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা ইমু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা ইমুর ছাত্রী সংস্থার সাথে অভিযুক্তের দাবি অস্বীকার।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে ক্যান্টিনের খাবারে (বরবটি-আলু ভাজি) পোকা পেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি শেয়ার করলে তা নিয়ে শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন ফাতেমাতুজ জোহরা ইমু।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী উম্মে মাবুদা তাঁর ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) পোকার বিষয় নিয়ে একটি লেখা শেয়ার করলে তা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং হলে থাকা অনেক শিক্ষার্থীকে তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতে দেখা যায়।

উম্মে মাবুদা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, খাবারে পোকা বিষয়টি নতুন নয়। তবে জুনিয়র একজন শিক্ষার্থী তাঁকে পোকার বিষয়টি জানালে এবং পরদিন মিড থাকায় সে পোস্ট দিতে না পারায় পরদিন মাবুদাকে জানায়। এরপর মাবুদা প্রমাণসাপেক্ষে পোস্টটি শেয়ার করেন। তবে তাৎক্ষণিক তিনি ইমুর হুমকির মুখে পড়েন।

এ বিষয়ে শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমাতুজ জোহরা ইমু বলেন, "আমি ছাত্রী সংস্থার সাথে জড়িত নই: উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ছাত্রী সংস্থার সাথে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে কয়েকটি প্রোগ্রাম অংশগ্রহণ করেছি।"

এছাড়াও তিনি বলেন,"হলের খাবারে প্রায়ই পোকা পাওয়া যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরও এমন হয়েছে। তবে সেদিন পোস্টদাতা শিক্ষার্থী ভোটের কথা উল্লেখ করে এবং দুই জায়গায় দুই কথা বলেছিল, তাই বিরক্ত হয়েছি। তবে ওই শিক্ষার্থীও আমাকে থ্রেট করেছে।"

শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, জকসুতে ইমু ছাত্রীসংস্থা থেকে ইলেকশন করতে যাচ্ছে এটা ওপেন সিক্রেট। মূলত পূর্বের এক ইস্যুতে সুযোগ বুঝে ইমুকে হয়রানি করা হচ্ছে। ছাত্রীসংস্থা বলে ট্যাগিংয়ের কারণ হতে পারে, ইমুকে যেনো ছাত্রীসংস্থার প্রতিনিধি না বানায়।

এদিকে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রীসংস্থা জানায় " আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, শিক্ষার্থী ইমু আমাদের সংগঠনের কর্মী নন। তাকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রী হিসেবে উপস্থাপন করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। "

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী ইমু বলেন আমি ওই ছাত্রীর উপর চড়াও হইনি। হল প্রশাসনের উচিত সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন