শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘দোষী’ ছাত্রদল, বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করল সাধারণ শিক্ষার্থীদের

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
expand
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত শিক্ষক লাঞ্ছনা ঘটনার তদন্ত শেষে ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং ৩২ জনকে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয় পক্ষের মধ্যেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক বি এম ইকরামুল হক।

তিনি জানান, এমএসসি শিক্ষার্থী সালিম সাদমানকে এক বছরের জন্য এবং ওমর বিন হোসাইন, শান্ত ইসলাম, মো. হৃদয় ও সাফওয়ান আহমেদ ইফাজকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ৩২ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুয়েটের এক কলেজ শিক্ষকের ফার্মহাউজে ছাত্রদলের সদস্যপদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরদিন সামাজিক মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির ছবি প্রকাশিত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

১৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় ছাত্রদল-সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে হামলা চালায়, এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন।

ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অপসারণসহ চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ২৫ এপ্রিল উপাচার্য পরিবর্তন ও তদন্তের নির্দেশের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে দুর্বল শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সাফওয়ান আহমেদ ইফাজ বলেন, “আমাদের টার্গেট করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত হোতারা রয়ে গেছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।”

অন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সালিম সাদমান বলেন, আমরা ভুল করেছিলাম, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারত। আমাদের শাস্তি দিয়ে পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনার বিচার আমরা চেয়েছি, কিন্তু এটি এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। যতটা বড় আকারে ঘটনা ঘটেছিল, ততটা পরিসরে বিচার হয়নি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন