

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) 'বি' ইউনিটের (সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি চলাকালীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (চ্যাটজিপিটি) সাহায্যে উত্তর বের করার সময় এক ছাত্রী আটক হয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় দ্বিতীয় সিফটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের দুই নাম্বার কক্ষ থেকে এ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটকের পর পরীক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষ জানা যায় পরীক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আমির মাহি। সে কক্সবাজার চকরিয়ার আমির হোসেন জুয়েলের মেয়ে।
মেয়েটি তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, আজ ২২ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় জহির রায়হান অডিটরিয়াম ভবনে B ইউনিটের ২য় শিফট-এর ভর্তি পরীক্ষায় রোল নম্বর- ২২২১৩৯৪ আমি একজন পরীক্ষার্থী ছিলাম। আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ও অন্যের বিনা প্ররোচনায় এই মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করছি যে, উপরে উল্লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় আমি Huawei 9Y Prime মডেলের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর ফোনে তার ছবি তুলে ChatGPT ব্যবহার করে উত্তর বের করে উত্তরপত্র পূরণ করা অবস্থায় কেন্দ্রের পরিদর্শক দেখতে পেয়ে আমাকে প্রক্টরিয়াল বডির নিকট হস্তান্তর করেন।
আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ও অন্যের বিনা প্ররোচনায় পুনরায় এই মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করছি যে, ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় আমি অসদুপায় অবলম্বন করেছি। উপরে বর্ণিত তথ্যসমুহ নির্ভুল ও সম্পূর্ণ সত্য। আমার দ্বারা সংঘটিত অপরাধে কর্তৃপক্ষ যে ধরণের শাস্তি প্রদান করবেন আমি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকব।
এ বিষয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক জানান, প্রথমে ঐ শিক্ষার্থীকে আমাদের সন্দেহ হয় তাই তাকে পিছনের সিট থেকে সামনের সিটে নিয়ে যাই কিন্তু সামনের সিটে বসেও সে মোবাইলে চ্যাটজিপিটি দিয়ে পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বন করে। পরবর্তীতে তাকে হাতেনাতে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সোপর্দ করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক রাশেদুল আলম জানান, আমরা সংশ্লিষ্ট অনুষদের ইউনিট প্রধানকে জানিয়েছি যেন এ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে এবং আর কখনো যেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন
