

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা, মরদেহকে ২৬ টুকরো করে লুকোনোর চেষ্টা করেন দুই ঘাতক।
রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২) এক পরিকল্পিত প্রেমের ফাঁদে ফাঁসেন।
মূল উদ্দেশ্য ছিল তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে অর্থ লুণ্ঠন করা।
র্যাব-৩-এর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফিন কাওরানবাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তদন্তে দেখা গেছে, মূল আসামি জরেজের সঙ্গে শামীমা আক্তারের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
জরেজ পরিকল্পনা করেন—শামীমার মাধ্যমে আশরাফুলকে ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায় করা হবে, যেটা তারা দু’জন ভাগ করে নেবে; জরেজ ৭ লাখ, শামীমা ৩ লাখ পাবে।
শামীমা এক মাস ধরে আশরাফুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বজায় রাখেন, তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং অডিও-ভিডিও কলের মাধ্যমে সম্পর্ক চালিয়ে যান।
গত ১১ নভেম্বর, ঢাকায় এসে তিনজন শনির আখড়ায় ৫ হাজার টাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে চেতনানাশক ব্যবহার করে আশরাফুলকে অচেতন করা হয়।
এরপর জরেজ তাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করেন, মুখে স্কসটেপ লাগানো থাকায় আশরাফুল শ্বাস নিতে না পারায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই রাত তিনিও মরদেহের পাশেই ছিলেন।
পরবর্তী পরিকল্পনায় ১৩ নভেম্বর জরেজ বাজার থেকে চাপাতি ও দুটি ড্রাম সংগ্রহ করেন।
মরদেহকে ২৬ টুকরো করে ড্রামে ভরে ফেলে, এবং হাইকোর্ট এলাকা দিয়ে দ্রুত সায়েদাবাদে চলে যান।
র্যাব-৩ কুমিল্লা থেকে শামীমাকে গ্রেফতার করে, আর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জরেজকে আটক করে।
মন্তব্য করুন
