

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো রাজধানীর টিটিপাড়া রেলওয়ে আন্ডারপাস। প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ আন্ডারপাসটি খুলে দেওয়ায় রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হলো।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে আন্ডারপাসটি উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জে. অব. আব্দুল হাফিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিন।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, পথচারী, সাইকেল ও রিকশার জন্য আলাদা লেনের সুবিধাসম্পন্ন এটি ঢাকা শহরের প্রথম রেলওয়ে আন্ডারপাস। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই আন্ডারপাসটির দৈর্ঘ্য ৩৩৮ মিটার এবং চওড়া ৩১ মিটার। চারটি লেন মোটরচালিত যানবাহনের জন্য (বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ)। দুটি আলাদা লেন রিকশা, ভ্যান ও সাইকেলের মতো নন-মোটরচালিত বাহনের জন্য। পথচারীদের হাঁটার জন্য রয়েছে ফুটপাথ।
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, মাত্র আধা কিলোমিটার পথ পেরোতেই কখনো কখনো এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যেত। যানজট এড়াতে অনেকেই খিলগাঁও বা গোলাপবাগ হয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরে যাতায়াত করতে। আন্ডারপাসটি না থাকায় টিটিপাড়া রেল ক্রসিংয়ে ট্রেন আসা-যাওয়ার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো।
এটি খুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হচ্ছে এবং মতিঝিলের সঙ্গে মুগদা, মান্ডা, মানিকনগর ও সবুজবাগ এলাকার সংযোগ সড়কে ট্রেনের সিগনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে না আর।
তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ ইতোমধ্যে সতর্ক করে জানিয়েছেন, আন্ডারপাসটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হলে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি আবার সমস্যার কারণ হতে পারে। তারা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন।
প্রকল্প–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্ডারপাসটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে এবং যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কমলাপুর মেট্রোরেল স্টেশনের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্ডারপাসটির শতভাগ সুফল পাওয়া যাবে না বলে তারা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
