

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যাত্রাবাড়ি-ডেমরা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেত্রী মার্জিনা আক্তারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মামলা বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও অবৈধ সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা এলাকায় আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, মার্জিনা আক্তার একসময় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক পরিবারের সদস্য হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় মহিলা আওয়ামী লীগের ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পদ দখল করেন। ওই সময় তিনি যাত্রাবাড়ি-ডেমরা এলাকায় নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তুলে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে গেলেও মার্জিনা আক্তার এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। তিনি পালাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ অর্থ ও সম্পদ দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে আসামিদের নাম বাদ দিতে পুলিশ ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তদবির করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা এলাকায় সংঘটিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডে মার্জিনার বাহিনী সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এসব মামলায় তার বা তার পরিবারের কারও নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, মার্জিনার একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে, যারা যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মাতুয়াইল, শনির আখড়া ও কোনাপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জবরদখল, ব্ল্যাকমেইল, অসামাজিক কার্যকলাপ ও নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া মার্জিনার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে করে প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল, নারী সরবরাহ, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অবৈধ সখ্যতার অভিযোগও করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জাহিদ আহমেদ নামে এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মার্জিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ওই সাংবাদিক গত ৪ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন

