বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশিরা: ভারতের বেনারসি ব্যবসায় ধস

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেনারসি শাড়ির ব্যবসা আগের থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ফাইল ছবি
expand
ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেনারসি শাড়ির ব্যবসা আগের থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। এর প্রভাব বিশেষভাবে দেখা গেছে বেনারসি শাড়ির ব্যবসায়।

উত্তর প্রদেশের বারাণসী অঞ্চলে শাড়ি বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে, ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি বেড়েছে। এখন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আর সেদিকে যান না। বলা চলে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

বারাণসীর একটি সরু গলিতে সারাজীবন শাড়ি বুনছেন ৫৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আহমেদ আনসারি। বারাণসী ভারতের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী এলাকা হিসেবেও পরিচিত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিক্রি অনেক কমে গেছে।”

বেনারসি শাড়ি সূক্ষ্ম সিল্ক ও সোনা বা রূপার সূচিকর্মের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। একটি শাড়ি তৈরি হতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং দামের ওপর নির্ভর করে এটি এক লাখ রুপি বা তারও বেশি হতে পারে। বিশেষ করে উৎসব ও বিবাহ মৌসুমে বাংলাদেশের চাহিদা বেশি থাকে।

গত বছর আগস্টে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান ও সঙ্গতি বিষয়ক দ্বন্দ্বের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ভারতের ওপর কিছু পণ্যের আমদানি সীমিত করে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও খাদ্যপণ্য স্থলপথে আমদানি বন্ধ করে। ফলে, বাংলাদেশ থেকে বেনারসি শাড়ি রপ্তানি করতে এখন সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে হয়, যা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।

বারাণসীর তাঁতিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই দুই লাখ থেকে অর্ধেক কমে গেছে। অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য কাজে যুক্ত হয়েছেন। পাইকারি ব্যবসায়ী ৬১ বছর বয়সী পবন যাদব জানান, “বাংলাদেশে শাড়ি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় আমাদের ব্যবসা স্থবির। ১৫ লাখ রুপি পাওনা আটকে আছে, যা ফেরত পাওয়া এখন কঠিন।” সূত্র: আল জাজিরা

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন