

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হত্যার ৮ ঘণ্টার মধ্যেই আসামি গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। হত্যার শিকার মরিয়ম বেগম খোকসাবাড়ী গ্রামের জাবেদ আলী সেখের মেয়ে। গ্রেফতারকৃত আসামি সোহেল রানা গুনেরগাঁতী গ্রামের আসাদুল্লাহর ছেলে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নলিচাপাড়া গ্রামে জনৈক জামাল হুজুরের ধানক্ষেতের পশ্চিম কোণে কলাগাছের নিচে অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লাশ সনাক্তকরণের জন্য পিবিআই–এর সহযোগিতায় অজ্ঞাত নারীর নাম–ঠিকানা শনাক্ত করে সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম. মনসুর আলী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এরপর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় এবং নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের এসি নাজরান রউফ সোমবার দুপুরে সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত তিন বছর যাবত মরিয়ম ও আসামি সোহেল রানার পরিচয় হয় সাইটে কাজ করতে গিয়ে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা সপ্তাহে এক থেকে দুইবার দেখা করতেন। পরবর্তীতে আসামি মরিয়মকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু মরিয়ম সময় চাইলে সে অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্ক করতে শুরু করে।
এমতাবস্থায় গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মাগরিবের আজানের পর তারা কুশাহাটা গ্রামে দেখা করে এবং সেখান থেকে ঘটনাস্থলে যায়। শারীরিক সম্পর্কের পর পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দিলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামি মরিয়মের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কলাগাছের নিচে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে আসে।
মন্তব্য করুন
