

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শেরপুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী জেলার সবকটি ধর্মপল্লী ও গির্জাতে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়। এর আগে, গেল রাত থেকে পবিত্র খ্রিষ্ঠজাগের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। এবার জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনা ও সংকির্তনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বড়দিনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন খ্রিষ্টান মিশন এবং ধর্মীয় উপাসানালয়ে চলছে উৎসবের আমেজ। উৎসবকে ঘিরে জেলার সকল স্থানে খ্রিষ্ট ভক্তদের মাঝে উৎসবের আমেজ বইছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার জেলা সদরের চরশ্রীপুর, পৌর এলাকার কসবা গরো পল্লী, সীমান্তের ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর আদিবাসি খ্রিষ্টান ধর্মপল্লী, নালিতাবাড়ি উপজেলার বারোমারি সাধু লিওর ধর্ম পল্লী ও শ্রীবরর্দী উপজেলার বাবলাকোনা আদিবাসী খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীসহ জেলার ১৮টি গীর্জায় প্রায় বিশ হাজার খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী গারো আদিবাসীসহ খ্রীষ্ট ভক্তরা নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করেছেন। দিনকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন গির্জা ও আশপাশের এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর প্রবীনশিয়াল ফাদার জর্জ রোজারিও সিএসসি বলেন, ‘বড়দিন আমাদের জন্য ভালোবাসা, শান্তি ও মানবতার শিক্ষা দেয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুললেই যিশুখ্রিস্টের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হতে হবে।’
ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার লরেস সিবেরোজ সিএসসি বলেন, ‘বড়দিন শুধু খ্রিস্টানদের উৎসব নয়; এটি বর্তমানে সর্বজনীন আনন্দের উৎসব হিসেবে পালিত হচ্ছে। এদিনে আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানুষের কল্যাণ কামনা করি। সমাজে ভালোবাসা ও সহনশীলতার চর্চাই বড়দিনের মূল শিক্ষা।
বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, ‘প্রভু যিশুখ্রীষ্ঠ মানুষের দুঃসময়ে, মানুষের একাকিত্বে, মানুষের কষ্টে তিনি এই পৃথিবীতে মুক্তি নিয়ে এসেছেন। আমরা সেই মুল ভাবটিকে ধারণ করে ধর্মপল্লীতে উৎসব করছি।’
শেরপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁঞা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো প্রতিটি গির্জায় পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করেছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত অপ্রতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ এখনো নিয়োজিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
