সোমবার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার
expand
সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার

সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনের জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে সাব-রেজিস্ট্রার অমায়িক বাবুর বিরুদ্ধে।

সাতক্ষীরা ল্যান্ড ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান স্টেডফাস্ট ল্যান্ডসের স্বত্বাধিকারী এস এম জুলফিকার আলী জিন্নাহ'র অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে নিবন্ধন অধিদপ্তর।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার একটি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে দলিল সম্পাদন না করে আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের নির্দেশে গত ২৩ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তদন্ত করেন যশোরের জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব। এ সময় সাতক্ষীরার জেলা রেজিস্ট্রার হাফিজা রুমা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগকারী সাতক্ষীরার ল্যান্ড ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান স্টেডফাস্ট ল্যান্ডসের স্বত্বাধিকারী এস এম জুলফিকার আলী জিন্নাহ জানান, সদর উপজেলার লক্ষ্মীদাড়ি মৌজার বিআরএস ৫০৮ নম্বর খতিয়ানের ২১০৫ দাগে ৩১ শতক জমির মধ্যে ১৮ শতক জমির মালিক খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোকছুদার রশিদ। তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করায় সম্পত্তি দেখাশোনা ও হস্তান্তরের জন্য তাঁর অনুকূলে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল রেজিস্ট্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জুলফিকার আলী জিন্নাহ বলেন, গত ১৬ নভেম্বর জমির মালিককে নিয়ে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে সাব-রেজিস্ট্রার অমায়িক বাবু বিভিন্ন অজুহাতে দলিল সম্পাদন বিলম্ব করেন। পরে তিনি সরাসরি ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দলিলটি ফেরত দেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সাব-রেজিস্ট্রারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কিছু অসাধু দলিল লেখকের মাধ্যমে ঘুষ বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে। ঘুষ ছাড়া সেখানে কোনো কাজ হয় না বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ও যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলমান। প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার অমায়িক বাবু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X